কাস্টমারের ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে সেলস বাড়ান

নিউরো মার্কেটিং এমন এক শক্তিশালী কৌশল যা আপনাকে সেটি করতে সহযোগীতা করবে

সীমিত সময়ের জন্য ৪৫% ডিসকাউন্ট

দিন

ঘন্টা

মিনিট

সেকেন্ড

রেগুলার মূল্যঃ ৩২৯ টাকা

ডিসকাউন্ট মূল্যঃ ‍ ১৭৯ টাকা

আপনার কেনাকাটায় থাকুক মানবতার ছোঁয়া!

আমরা শুধু একটি ই-বুক বিক্রি করছি না—আমরা চাই আপনার সাহায্যে কিছু মানুষের জীবন একটু হলেও ভালো হোক।

এই ই-বুকের প্রতিটি বিক্রয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ অসহায় ও গরিব মানুষদের সাহায্য করার জন্য ব্যয় করা হবে ইনশাআল্লাহ্। এই মানুষগুলো প্রতিদিন খাবারের জন্য সংগ্রাম করে, মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হিমশিম খায়। আপনি যখন “ব্রেইন টু বিজনেস” ই-বুকটি কিনবেন, তখন আপনি শুধু নিজের জ্ঞান বাড়াচ্ছেন না, বরং আপনার ক্রয়ের মাধ্যমেও কিছু মানুষকে সহায়তা করছেন।

এই ই-বুকটি কেনো আপনার জন্য প্রয়োজন?

বর্তমান যুগে শুধু ভালো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকলেই হয় না, বরং দরকার সঠিক মার্কেটিং কৌশল। কিন্তু সমস্যা হলো, প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতিগুলো দিন দিন কম কার্যকর হয়ে যাচ্ছে। এখনকার কাস্টমাররা বিজ্ঞাপনে সহজে বিশ্বাস করে না, তারা তাদের আবেগ ও মনস্তত্ত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তাই যদি আপনি তাদের মনস্তত্ত্ব বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনার ব্যবসা ধীরে ধীরে প্রতিযোগীদের কাছে পিছিয়ে পড়বে।

ব্রেইন টু বিজনেস” ইবুকটি আপনাকে এমনই এক আধুনিক মার্কেটিং কৌশল শেখাবে, যা বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি – নিউরো মার্কেটিং। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালি, আবেগ ও কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনের কারণগুলো বোঝার মাধ্যমে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করে।

আসুন কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক

মানুষ আবেগ দিয়ে কেনে, কিন্তু যুক্তি দিয়ে সেটাকে সমর্থন করে!

আপনি কি জানেন, আমাদের কেনাকাটার ৯৫% সিদ্ধান্ত অবচেতনভাবে আবেগের ভিত্তিতে হয়? আমরা কোনো পণ্য বা সার্ভিস কেনার আগে যুক্তি খুঁজি, কিন্তু আসলে আমাদের আবেগই সেই সিদ্ধান্তের মূল চালিকাশক্তি। নিউরো মার্কেটিং এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে।

রঙ ও ডিজাইন বিক্রিতে বিশাল ভূমিকা রাখে!

মানুষের মনস্তত্ত্ব রঙের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। গবেষণা বলছে, ৮৫% মানুষ শুধু রঙের কারণে কোনো পণ্য কেনে! যেমন, লাল রঙ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করে, নীল রঙ বিশ্বাস তৈরি করে, আর সবুজ রঙ স্বস্তি ও ভারসাম্যের অনুভূতি দেয়। তাই ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিংয়ে সঠিক রঙ বেছে নেওয়া অপরিহার্য।

আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম ৩ সেকেন্ডের বেশি হলে ৫৩% ভিজিটর হারিয়ে যায়!

কাস্টমাররা ধৈর্য হারিয়ে দ্রুত সাইট থেকে বের হয়ে যায়, যদি সেটি ধীরগতির হয়। তাই মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে শুধু কনটেন্টই নয়, ওয়েবসাইটের স্পিড, ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্সও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ডিসকাউন্ট ও সীমিত সময়ের অফার কেন এত কার্যকর?

আমাদের মস্তিষ্ক “ফিয়ার অফ মিসিং আউট” বা FOMO-তে ভুগে! তাই যখন আমরা দেখি কোনো অফার সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে, তখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেই, যেন সুযোগ হাতছাড়া না হয়। বড় ব্র্যান্ডগুলো এই মনস্তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে বেশি বিক্রি করে।

কাস্টমারের মস্তিষ্ক ৭ সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়!

আপনার ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা অফার সম্পর্কে একজন কাস্টমার প্রথম ৭ সেকেন্ডেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে—সে কিনবে নাকি এড়িয়ে যাবে! তাই আপনার মার্কেটিং মেসেজ, ভিজ্যুয়াল, এবং প্রেজেন্টেশন এমন হতে হবে, যা প্রথম দেখাতেই মস্তিষ্ককে আকর্ষণ করতে পারে। নিউরো মার্কেটিং ঠিক এই কাজটিই সহজ করে দেয়।

বিজ্ঞাপনের গল্প বলার শক্তি!

মানুষ তথ্যের চেয়ে গল্পকে বেশি মনে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোনো পণ্যের প্রচারে গল্প বা ইমোশনাল অ্যাপিল থাকে, তাহলে সেটি ২২ গুণ বেশি কার্যকর হয়! নিউরো মার্কেটিংয়ের একটি বড় অংশ হলো কাস্টমারদের আবেগে স্পর্শ করা এবং গল্পের মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ডের সাথে সংযুক্ত করা।

বইটি কেনো আপনার পড়া উচিত?

বর্তমান সময়ে ব্যবসা আর আগের মতো নেই! শুধু ভালো পণ্য বা সেবা থাকলেই চলবে না, বরং কাস্টমারের মস্তিষ্ককে বুঝতে হবে এবং তার উপর প্রভাব ফেলতে হবে। আর ঠিক এই কাজটিই করে নিউরো মার্কেটিং।

আপনার যদি ব্যবসা থাকে

এই বইটি আপনাকে শেখাবে কীভাবে কাস্টমারের মনস্তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং করবেন, যাতে আপনার কনভার্সন রেট কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

আপনি যদি মার্কেটার হন

প্রথাগত মার্কেটিং থেকে বেরিয়ে এসে কাস্টমারের আবেগ, মনস্তত্ত্ব, ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া বোঝার কৌশল শিখবেন, যা আপনার ক্যারিয়ারকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনি যদি নতুন উদ্যোক্তা হন

এই বইটি আপনার জন্য একটি গাইড হিসেবে কাজ করবে, যা আপনাকে শেখাবে কীভাবে সঠিক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে কম বাজেটেও বড় ফলাফল আনতে পারবেন।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন

নিউরো মার্কেটিং এমন একটি বিষয়, যা ভবিষ্যতে বড় বড় কোম্পানিগুলোর প্রধান স্ট্র্যাটেজি হয়ে উঠবে। এখনই শিখলে, আপনি আগামীর জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন।

বইটি পড়ে কি আসলেই কোনো লাভ হবে?

এটা সত্যি যে, শুধু বই পড়লে কোনো লাভ হবে না, যদি না আপনি শেখা কৌশলগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করেন। “ব্রেইন টু বিজনেস” বইটি নিউরো মার্কেটিংয়ের এমন কার্যকরী কৌশল শেখাবে, যা আপনার ব্যবসায় সেলস ও কনভার্সন বৃদ্ধি করবে। আপনি কী চান না কাস্টমারদের মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করতে? Apple, Amazon, Coca-Cola- এর মতো বড় ব্র্যান্ডগুলো যেমন নিউরো মার্কেটিং ব্যবহার করে, তেমনি আপনি এই বইয়ের কৌশল ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা আরও সফল করতে পারবেন। বড় বাজেট ছাড়াই সেলস বাড়াতে চান? তাহলে “ব্রেইন টু বিজনেস” বইটি আপনার জন্যই!

বইটি পড়ে কি কি জানবেন?

আসুন কয়েকটা পাতা পড়ি

বইটি পড়ে পাঠকেরা কি বলছেন?

সাজিদ সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

এটি শুধু একটি সাধারণ মার্কেটিং বই নয়, এটি বিজ্ঞানের মাধ্যমে কাস্টমারের চিন্তাভাবনা বোঝার চমৎকার গাইডলাইন। নিউরো মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে এবং বাস্তবে কীভাবে প্রয়োগ করতে হয়, তা হাতে-কলমে শিখেছি।

সাফায়েত ফাউন্ডার, স্টাইলশপি

আমি আমার ই-কমার্স বিজনেসের জন্য অনেক মার্কেটিং বই পড়েছি, কিন্তু 'ব্রেইন টু বিজনেস' সবচেয়ে কার্যকর লেগেছে। এতে এমন সব কৌশল শিখেছি, যা আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার বিজ্ঞাপনে প্রয়োগ করেছি এবং সেলস দ্বিগুণ বেড়েছে!

নাজমুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট

নিউরো মার্কেটিং সম্পর্কে জানতাম, কিন্তু এত গভীরভাবে কখনো বুঝতে পারিনি। বইটি পড়ে বুঝতে পারলাম, কীভাবে বড় ব্র্যান্ডগুলো আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং আমরা তাদের পণ্য কেনার জন্য তীব্র আগ্রহী হয়ে উঠি।

Scroll to Top